কিভাবে কি-বোর্ড (Keyboard) ছাড়া কম্পিউটার চালাবেন? এবং একটি কি-বোর্ড (Keyboard) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
কিভাবে কি-বোর্ড (Keyboard) ছাড়া কম্পিউটার চালাবেন? এবং একটি কি-বোর্ড (Keyboard) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা।
হ্যালো বন্ধুরা আমি “আলমগীর কবির” কেমন আছেন সবাই? আশা করি ভালো আছেন। আপনাদের দোয়ায় আমিও ভালো আছি। যাইহোক, আজ আমি দেখাবো কিভাবে
কি-বোর্ড
(Keyboard) ছাড়া কম্পিউটার চালাবেন এবং
একটি কি-বোর্ড (Keyboard) সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করবো।
ভূমিকাঃ
কি-বোর্ড (Keyboard) হচ্ছে কম্পিউটারের একটি ইনপুট ডিভাইস। কি-বোর্ড
(Keyboard) কম্পিউটারের ডিভাইস সমূহের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। কি-বোর্ড
(Keyboard) এর
মাধ্যমে বিভিন্ন লেখা-লেখির কাজ করা সহ কম্পিউটারে বিভিন্ন কমান্ড প্রায়োগ বা তথ্য প্রদান করা হয়। এই
গুরুত্বপূর্ণ কি-বোর্ড (Keyboard) নষ্ট হয়ে গেলে আমরা অনেক সময় বিপদে পরে যাই। জরুরী
কাজ
অথচ
কি-বোর্ড
(Keyboard) নষ্ট। এই মুহুর্তে কি-বোর্ড
(Keyboard) কেনাও সম্ভব নয়। তাই,
কিভাবে
কি-বোর্ড
(Keyboard) ছাড়া জরুরী/ প্রয়োজনীয় কাজ সেরে ফেলবেন।
চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে Start
বাটনে ক্লিক করুন > তারপর All
Programs যান > এরপর Accessories যান
> এরপর Ease of Access যান > সবশেষে On-Screen
Keyboard ক্লিক করুন। এরপর নিচের
চিত্রের মতো একটি On-Screen
Keyboard কি-বোর্ড পেয়ে যাবেন। সেই
কাংখিত কি-বোর্ড (Keyboard) টি মাউস দাড়া
পরিচালনা করতে পারবেন।
![]() |
On-Screen Keyboard |
কি কি সিস্টেমের জন্য আবশ্যকঃ উইন্ডোজ 2000, 2003, WinXP, ভিস্তা ও x86 এবং X64 উভয় প্লাটফর্ম সমর্থিত উইন্ডোজ 2007, 2008, 2010, 2013,
2016 ইত্যাদি আপডেট ভারশন গুলোতে
ব্যবহার করা যাবে।
কি-বোর্ড (Keyboard) পরিচিতিঃ
আমি আগেই
বলেছি, কি-বোর্ড (Keyboard) হচ্ছে কম্পিউটারের একটি
ইনপুট ডিভাইস। যার মাধ্যমে
বিভিন্ন লেখা-লেখির কাজ
করা সহ কম্পিউটারে বিভিন্ন কমান্ড
প্রায়োগ/ তথ্য প্রদান করা
হয়।
কি-বোর্ড (Keyboard) এর শ্রেণী বিভাগঃ
একটি কি-বোর্ড (Keyboard) কে ০৬টি শ্রণীতে
ভাগ করা যায় যথাঃ
১. Function Key.
২. Typing Key.
৩. Tact-at Key.
৪. Arrow Key.
৫. Numeric Key.
৬. Special Key.
১। Function
Key: একটি কি-বোর্ড (Keyboard) এর সবার উপরের
সারিটিতে F1 থেকে F12 পর্যন্ত যে
১২টি “Key” বা “Button” থাকে। এই “Key” বা “Button” গুলোকে একত্রে
Function Key বল হয়। এই
Function Key গুলোর এক-একটির কাজ
ভিন্ন রকম রয়েছে। যেমনঃ
কোন লেখার লেটার বড়-ছোট (ALAMGIR KABIR/ alamgir kabir) করার জন্য (Shift+F3) ব্যবহার করা
হয়, কোন কমান্ড বাতিল
করার জন্য (Alt+F4), কম্পিউটার রিফ্রেশ দেওযার
জন্য F5 ব্যবহার করা হয়
ইত্যাদি।
২। Typing
Key: কি-বোর্ড (Keyboard)
এ A থেকে Z পর্যন্ত সবগুলো অক্ষর
এলোমেলো ভাবে সাজানো থাকে
এগুলোকে Typing Key বলে।
৩। Tact-at
Key: কি-বোর্ড (Keyboard)
এ Page
Down, Page Up, Home, End, Delete “Key” বা “Button” এগুলোকে Tact-at
Key
বলে।
Function Key |
Typing Key |
Page Down: এই Key একবার চাপলে
Page এক Screen নিচে যাবে।
Page Up: এই Key একবার চাপলে
Page এক Screen উপরে যাবে।
Home: এই Key একবার চাপলে
কার্সর লাইনের শুরুতে যাবে।
End: এই Key (Ctrl+End) চাপলে কার্সর লাইনের
শেষে যাবে।
Delete: এই Key একবার চাপলে
কার্সরের ডানে এক বর্ণ
মুছে যাবে। আর লেখা
Block করে Delete চাপলে সমস্ত লেখা
মুছে যাবে। Block করার জন্য
(Ctrl+A) চাপতে হবে।
Tact-at Key |
৪। Arrow
Key: কি-বোর্ড (Keyboard)
এ তীরের মতো ০৪টি
কী/বাটন রয়েছে।এগুলোকে Arrow
Key বলে।এই কী গুলো
কারসর উপর-নীচ-ডান-বাম নিতে বেশি
ব্যবহার হয়। এছাড়াও, এর বিভিন্ন
জায়গায় অনেক প্রকার কাজ
রয়েছে।
![]() |
Arrow Key |
Numeric Key |
৬। Special
Key: কি-বোর্ড (Keyboard)
এ Enter
Key, Shift Key, Alt,
Ctrl, Space Bar, Back Space, Esc
“Key” বা “Button” এগুলোকে Special Key বলে।নিচের েচিত্রে লাল চিন্হিত কী গুলো Special Key।
Enter Key: এই Key দিয়ে কার্সরকে
এক লাইন নিচে নামানো
যাবে এবং কোন কমান্ড
Ok করা যায়।
Shift Key: একটি কীবোর্ড ২টি
Shift Key রয়েছে। এ দুটির
কাজ একই। এই Key চেপে ধরে
যে অক্ষর লেখা হয়
তা Capital Letter
হবে এবং দুটি চিহ্ন
বিশিষ্ট বাটন চাপলে উপরের
চিহ্ন হবে।
Caps Lock: এই বাটনের একটি
Power Light রয়েছে। এই Light On অবস্থায় যে কোন
অক্ষর Capital Latter
হবে।
Alt: এটি সাহায্যকারী বাটন।
Ctrl: টি Short Cut কমান্ড প্রয়োগ
করার জন্য ব্যবহার করা
হয়।
Space Bar: এই Key চাপলে একবর্ণ
ফাঁকা সৃষ্টি হবে।
Back Space: কোন কমান্ড বাতিল
করার জন্য।
Tab: কোন লেখাকে এক ধাপ এগিয়ে নেওয়ার জন্য ব্যবহার হয় এবং এক থেকে অন্য টেবিলে যাওয়ার জন্য ব্যবহার করা হয়।
Windows Key: মাউস ছাড়া স্ট্রাট বাটনে যাওয়ার জন্য ব্যবহার হয়।
Refresh Key: মাউসের রাইট বাটনের কাজ করে।
[আমার আজকের পোস্টে আপনাদের স্বাগতম। পোস্টটি কেমন হলো
তা কমেন্ট করে জানাবেন। সেই সাথে লাইক দিতে বুলবেন না। এতে, দুজনের
মধ্যে সুসম্পর্ক ও চেনা-জানা আরো আন্তরিক হবে কোন প্রকার সমস্যা হলে সমাধানদেওয়ার চেষ্টা করবো এখানে আমি আমার জানা কিছু টিপসআর অভিজ্ঞতাগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করব।নিয়মিত এই ব্লগে যোগদিন এবং অন্যদের বলুন এই ব্লগে যোগ দিতে।]
পোস্টটি পড়ার জন্য ধন্যবাদ ।
ধন্যবাদান্তে
*****মোঃ আলমগীর কবির*****
আপনার আর্টিকেল টি পরে খুব ভাল লাগলো ভাই আপনি যদি ইনস্টাগ্রাম থেকে টাকা আয় করতে চান তাহলে পড়তে পারেন
ReplyDeleteআসসালামুওয়ালাইকুম,
ReplyDeleteবাংলা টিপস, ট্রিকস এবং প্রযুক্তিভিত্তিক বিভিন্ন বিষয়ে জানতে এই নতুন ব্লগের সাথে থাকুন। chanumia.com
বাংলা টাইপিং শেখার নিয়ম
ReplyDelete